৫০০-র ক্লাবে চলে এলেন সুনীল নারিন, আরও রয়েছেন কারা

“আশা করি, এটি ৫০০ এর বেশি হবে”।

গতকাল কলকাতা নাইট রাইডার্স-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচের পর একথা বলেন সুনীল নারিন। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলা ম্যাচটি ছিল নারিনের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৫০০তম ম্যাচ। ২০১১ থেকে ২০২৪- ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি সহ মোট ১৪টি দলের হয়ে খেলে তিনি এই মাইলফলক স্পর্শ করেন। মে মাসে ৩৬ বছর বয়সী নারিনের আর ৫০০টি ম্যাচ খেলার খুব কমই সুযোগ রয়েছে। নারিনের আগে, মাত্র তিনজন – ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইজন, পাকিস্তানের একজন – 500 টি-টোয়েন্টির মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন।

কাইরন পোলার্ড টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় যিনি তার ৫০০তম ম্যাচ খেলেছেন। ২০২০ সালের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিনি এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। পোলার্ড এখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং কোচ। তবে মাঠের ক্রিকেট ছাড়েননি তিনি। চলতি মাসে পিএসএলে করাচি কিংসের হয়ে খেলেছেন। এই জ্যামাইকান অলরাউন্ডার এখন পর্যন্ত ৬৬০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার রান এবং ৩০০ উইকেট। কোচিং বাদেও ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এখনও যেভাবে খেলছেন তা নিয়ে কতদূর যেতে পারবেন কে জানে?

৫০০ ক্লাবের দ্বিতীয় ক্রিকেটারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের হয়ে পোলার্ডের সাথে অংশীদার হন। তবে গত বছর প্রথম টি-টোয়েন্টি বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন ত্রিনিদাদের এই অলরাউন্ডার। ৪০ বছর বয়সী ব্রাভো এখনও খেলা ছেড়ে দেননি। সর্বশেষ খেলেছেন দুবাইতে ILT-T20। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাভো প্রায় ৭ হাজার রান করেছেন এবং ৬০০ টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন।

দুই ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড়ের পর শোয়েব মালিক তৃতীয় ক্রিকেটার যিনি তার ৫০০তম ম্যাচ খেলেছেন। পাকিস্তানের এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার 2023 সালের ফেব্রুয়ারিতে রংপুর রাইডার্স-ঢাকা ডমিনেটর ম্যাচে পাঁচটি সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। বাকি দুজনের মতোই খেলতে থাকেন মালিক। তিনজনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার রানও রয়েছে তার নামে।

বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার ৫০০ ম্যাচের মাইলফলকের কাছাকাছি। আইপিএলে কলকাতার হয়ে রাসেলের খেলার সংখ্যা ৪৮৪টি এবং গুজরাট টাইটানসের হয়ে মিলারের খেলা ম্যাচের সংখ্যা ৪৭১টি। এবারের আইপিএলে ৫০০ ছুঁতে পারবে না কেউ। তবে জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেললে রাসেলের ভালো সুযোগ থাকবে।

বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সাকিব আল হাসান সবচেয়ে বেশি 428 টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন, যা সকল খেলোয়াড়দের মধ্যে যৌথভাবে দশম। দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মাহমুদউল্লাহ সাকিব- ৩১৫ ম্যাচে বেশ পিছিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *