কোমল এবং চকচকে চুল কে না ভালোবাসে? কিন্তু বর্তমান লাইফস্টাইল এবং দূষণের কারণে আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। মানসিক চাপও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চুলের যত্ন সুস্থ ও সুন্দর রাখতে গিয়ে প্রচুর টাকাও খরচ করেন অনেকে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। চুলের যত্ন করতে নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন-
কন্ডিশনারের পরিবর্তে হেয়ার মাস্ককে অগ্রাধিকার দিন
আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কন্ডিশনার তো চুলের জন্য উপকারী, তাহলে আমরা কেন এটি বাদ দেওয়ার কথা বলছি, তাহলে আসুন আপনাকে বলি যে ক্ষতিগ্রস্থ চুলের জন্য হেয়ার মাস্ক একটি গেম-চেঞ্জার হিসাবে প্রমাণিত। হেয়ার মাস্ক চুলকে আরও পুষ্ট করে, চুলের শুষ্কতা এবং নিস্তেজ ভাব দূর করে। কন্ডিশনার সেই চুলের জন্য উপযুক্ত যা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত না এবং এর সাথে নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন হয়।
চিরুনিকে বিদায় বলুন, ডেট্যাংলারকে হাই বলুন!
চুলের যত্নে অনেকেই অনেক কিছু করেন। সেই দিন আর নেই যে আপনাকে পাতলা প্লাস্টিকের চিরুনিই ব্যবহার করতে হবে। এখন এমন একটি ডেট্যাংলার বেছে নিন যা আপনার চুলের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এবং মাত্র দুটি জিনিস জানে – জট ছাড়ানো এবং গ্রুমিং। চুলের ভাঙ্গা কমিয়ে চুলকে স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর আকৃতি দেওয়ার এটি সেরা উপায়। আপনি যদি ডেট্যাংলারের পরিবর্তে চিরুনিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তবে চওড়া দাঁতযুক্ত চিরুনি বেছে নিন, যা চুলের জন্য ভালো।
স্ক্যাল্প ম্যাসাজার ব্যবহার করুন
সবাই বডি ম্যাসাজ করতে ভালোবাসে, তাহলে স্ক্যাল্প বাদ যাবে কেন? স্ক্যাল্প ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন ভালো করে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল বড় এবং ঘন হয়। চুলের ফলিকলও মজবুত হয় এবং চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া এটি খুশকি থেকেও মুক্তি দেয়। এই সব একসাথে চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং ঝামেলা মুক্ত রাখে।
ভেজা চুলে চিরুনি ব্যবহার করবেন না বা কোনো স্টাইল করবেন না
ভেজা চুল খুব নাজুক। তাই আপনার চুল ভেজা থাকলে তখন কোনো স্টাইল করতে যাবেন না। চুল ধোয়ার পর চুলকে স্বাভাবিকভাবে বাতাসে শুকাতে দিন এবং প্রয়োজনে কম তাপমাত্রায় শুকিয়ে নিন, অতিরিক্ত তাপ দেবেন না। আপনার চুল ৬০ শতাংশ শুকিয়ে গেলে, ব্রাশের সাহায্যে সেগুলিকে আঁচড়ে নিন।