দলকে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার নায়ক। মাঠে জোয়াও পেদ্রোর উদযাপন হওয়ার কথা বাঁধনহারা। কিন্তু চেলসির নতুন তারকা গোল করে ভঙ্গি করলেন ক্ষমা চাওয়ার।

নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিায়ামে পেদ্রো প্রথম গোলটি করে অষ্টাদশ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে গিয়ে পেদ্রো নেতো বল বাড়ান ফ্লুমিনেসির বক্সে। একজন ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে বল চলে আসে বক্সের ঠিক বাইরে দাঁড়ানো পেদ্রোর কাছে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনি বক্সের বাইরে থেকেই গতিময় বাঁকানো শটে বল পাঠান জালে। গোলকিপারের করার ছিল সামান্যই।
৫৬তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি আরও দুর্দান্ত। কিন্তু দুটি গোলের একটিতেও উদযাপন করেননি। ছুটে গিয়ে দু হাত ওপরে তুলে দেন তিনি।
ম্যাচের পর উদযাপন না করার কারণ জানান ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
“তারা (ফ্লুমিনেসি) আমাকে সবকিছু দিয়েছে। গোটা বিশ্বের সামনে আমাকে তুলে ধরেছে তারা। আজ আমি এখানে আসতে পেরেছি, কারণ তারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে।”
“আমি খুবই কৃতজ্ঞ। তবে এটা তো ফুটবল, আমাকে পেশাদার হতে হবে। তাদের প্রতি আমি দুঃখপ্রকাশ করছি, নিজের কাজটা আমাকে করতোই হতো।”
উদযাপন না করলেও নিজের গোলের আনন্দ তো আছেই, পেদ্রো বেশি খুশি দল জিততে পারায়।
“আজকে যেহেতু আমি শুরুর একাদশে ছিলাম, নিজেকে মেলে ধরার ও গোল করার বেশি সুযোগ আমার ছিল। দল জিতেছে, গোটা দল ভালো খেলেছে, সেটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”