গেল বৃহস্পতিবারের চাঁদটা একটু অন্যরকম ছিল। একে তো পূর্ণিমা ছিল, এর সঙ্গে ওইদিন দক্ষিণ দিগন্তের একেবারে নিম্নভাগে অবস্থান করে চাঁদ। ওই চাঁদকে আকারে বেশ বড় দেখাচ্ছিল, সোনালী আভা চোখে পড়ছিল। একটি কারণে মহাকাশপ্রেমীরা এই চাঁদের (July Full Moon) অপেক্ষায় থাকেন।

এই সময় চাঁদ একেবারে দক্ষিণ দিগন্তের নিম্নভাগে নেমে আসে, একেবারে ছোট দেখায় বলে, এই জুলাই মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘মাইক্রোমুন’ও বলা হয়। এই সময় অপসূর অবস্থানে বিরাজ করে চাঁদ, অর্থাৎ সূর্যের থেকে দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয় (Buck Moon)।
জুলাই মাসের এই পূর্ণিমার চাঁদকে ‘Buck Moon’-ও বলা হয়। বছরের এই সময় পুরুষ হরিণের মাথায় শিং গজাতে শুরু করে। পুরুষ হরিণকে ইংরেজিতে Buck বলা হয়, তাই জুলাই মাসের পূর্ণিমার চাঁদকেও বলা হয় ‘Buck Moon’. কিছু জায়গায় ‘Thunder Moon’ বলার চলও রয়েছে, এই সময়ে হওয়া ঝড়-ঝঞ্ঝার কথা মাথায় রেখেই। ইউরোপে আবার ‘Hay Moon’ বলা হয়, কারণ এই সময় গৃহপালিত পশুর খাওয়ার ফসল কেটে জড়ো করে।
এই সময় একেবারে সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে অবস্থান করে পৃথিবী। ফলে চাঁদকে সম্পূর্ণ আলোকিত রূপেই দেখা যায়। কোনও ছায়া থাকে না, চাঁদের কোনও অংশ ঢাকা থাকে না। পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদের এই সমীকরণের নেপথ্য কারণ একেবারে বৈজ্ঞানিক হলেও, এর সঙ্গে জড়িয়ে নানা সংস্কৃতি। জুলাই মাসে এই সময় চাঁদকে সাক্ষী রেখে কবিতাপাঠ, গল্পের আসর বসানো, পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার চল রয়েছে বিভিন্ন দেশে।