ফিরে দেখা শোলের মহাকাব্যিক যাত্রাপথ

সালটা ১৯৭৫। ভারতের রাজনৈতিক আকাশ তখন উত্তপ্ত, জরুরি অবস্থা বা ‘ইমার্জেন্সি’র কালো ছায়া দেশজুড়ে। ঠিক সেই সময়েই সেলুলয়েডের পর্দায় মুক্তি পেল এমন এক চলচ্চিত্র, যা কেবল ভারতীয় সিনেমার মোড়ই ঘুরিয়ে দিল না, বরং নিজেই হয়ে উঠল এক ইতিহাস। নাম— ‘শোলে’।

শোলে’ কেবল বিপুল অর্থ উপার্জনই করেনি, বরং এটি ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগ এবং বক্স অফিস থেকে মুনাফা অর্জনের এক নতুন এবং আগ্রাসী মানদণ্ড তৈরি করেছিল

রমেশ সিপ্পি পরিচালিত এই সিনেমাটি আজ প্রায় অর্ধশতাব্দী পরেও সমান প্রাসঙ্গিক। গব্বর সিংয়ের অট্টহাসি, জয়-বীরুর বন্ধুত্ব কিংবা বাসন্তীর ঘোড়ার গাড়ি— সবকিছুই দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। এই কালজয়ী সিনেমার তৈরির পেছনের গল্প পর্দার গল্পের মতোই রোমাঞ্চকর। চলুন ফিরে দেখা যাক শোলে’র সেই মহাকাব্যিক যাত্রাপথ।

১৯৭৩ সালের দিকে চিত্রনাট্যকার জুটি সেলিম-জাভেদ পরিচালক রমেশ সিপ্পিকে একটি চার লাইনের গল্প শুনিয়েছিলেন। মূল ধারণাটি নেওয়া হয়েছিল জাপানি মাস্টারপিস ‘সেভেন সামুরাই’ এবং হলিউডের ‘দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ থেকে। রমেশ সিপ্পির বাবা, প্রযোজক জি.পি. সিপ্পি চেয়েছিলেন বড় ক্যানভাসে কিছু করতে।

রমেশ সিপ্পির দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পরিষ্কার— তিনি কেবল একটি অ্যাকশন সিনেমা বানাতে চাননি, তিনি চেয়েছিলেন একটি ‘ইন্ডিয়ান ওয়েস্টার্ন’ বা ‘কারিপাত্তা ওয়েস্টার্ন’ তৈরি করতে। তিনি চেয়েছিলেন এমন এক রুক্ষ ও শুষ্ক ল্যান্ডস্কেপ, যা হলিউডের কাউবয় সিনেমার কথা মনে করিয়ে দেবে। এজন্য বেঙ্গালুরুর কাছে রামনগরকে বেছে নেওয়া হয় এবং সেখানেই তৈরি করা হয় কাল্পনিক গ্রাম ‘রামগড়’। আড়াই বছর ধরে চলেছিল এই সিনেমার শুটিং। তৎকালীন সময়ে এটি ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমা (প্রায় ৩ কোটি রুপি)।

শোলের কাস্টিং নিয়ে যে পরিমাণ নাটকীয়তা হয়েছে, তা নিয়ে আরেকটি সিনেমা হতে পারে।
গব্বর সিং: এই চরিত্রটির জন্য প্রথমে ভাবা হয়েছিল ড্যানি ডেনজংপাকে। কিন্তু তিনি ফিরোজ খানের ‘ধর্মানাত্মা’ সিনেমার শিডিউল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শোলে ছেড়ে দেন। এরপর চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের সুপারিশে নবাগত আমজাদ খানকে নেওয়া হয়। অথচ, আমজাদ খানের গলার স্বর চিকন হওয়ায় তাঁকে প্রায় বাদই দেওয়া হয়েছিল!

জয় ও বীরু: ধর্মেন্দ্র তখন সুপারস্টার, তাই বীরু চরিত্রে তিনি সহজেই জায়গা পান। কিন্তু ‘জয়’ চরিত্রের জন্য প্রথমে শত্রুঘ্ন সিনহাকে ভাবা হয়েছিল। পরে ধর্মেন্দ্রর সুপারিশে অমিতাভ বচ্চন এই চরিত্রে সুযোগ পান। তখন অমিতাভ আজকের মতো ‘বিগ বি’ হয়ে ওঠেননি।

ঠাকুর: এই চরিত্রের জন্য দিলীপ কুমারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দেন। পরে সঞ্জীব কুমার এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। মজার বিষয় হলো, সঞ্জীব কুমার ও ধর্মেন্দ্র দুজনেই হেমা মালিনীকে (বাসন্তী) পছন্দ করতেন। ধর্মেন্দ্র শর্ত দিয়েছিলেন যে, হেমা মালিনীর সঙ্গে সঞ্জীব কুমারের কোনো দৃশ্য রাখা যাবে না।

ফ্লপ থেকে ব্লকবাস্টার
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে সিনেমাটি মুক্তি পায়। কিন্তু শুরুর দুই সপ্তাহ বক্স অফিসে এটি মুখ থুবড়ে পড়ে। সমালোচকরা সিনেমাটিকে ‘শোলে’ (আগুন) না বলে ব্যঙ্গ করে ‘ছোলে’ (অঙ্গার) বলতে শুরু করেন। হতাশ হয়ে নির্মাতারা ক্লাইমেক্স পরিবর্তন করার কথাও ভেবেছিলেন।


Editor’s Choice
গুইলারমো দেল তোরোর ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’: দানব যখন মানুষের চেয়েও মানবিক


ভারতীয় সিনেমা ‘শোলে’ কেবল দেশের অভ্যন্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এক বিশেষ সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক স্থান দখল করে আছে

কিন্তু তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ‘মাউথ পাবলিসিটি’ বা দর্শকদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া প্রশংসায় হলগুলোতে উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়। মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে এই সিনেমাটি টানা ৫ বছর (১৯৭৫-১৯৮০) প্রদর্শিত হয়, যা একটি অবিস্মরণীয় রেকর্ড। শোলের জয়গাথা কেবল ভারতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এর উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে।

২০০২ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের এক পোলে ‘শোলে’কে “Film of the Millennium” বা সহস্রাব্দের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে (বর্তমান রাশিয়া ও সংলগ্ন দেশগুলো) ভারতীয় সিনেমার বিশাল বাজার ছিল। শোলে সেখানে ডাবিং করে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তা অভাবনীয় জনপ্রিয়তা পায়। রুশ দর্শকদের কাছে অ্যাকশন এবং ইমোশনের এই মিশ্রণ ছিল নতুন এক অভিজ্ঞতা।

চীনেও শোলে সীমিত পরিসরে মুক্তি পেয়েছিল এবং সেখানকার দর্শকদের আকৃষ্ট করেছিল। মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে দুবাই এবং সৌদি আরবে প্রবাসী ও স্থানীয়দের মাঝে শোলে’র ক্যাসেট (ভিএইচএস) ছিল সোনার হরিণ।

শোলে’র সংলাপগুলো বিশ্বের বিভিন্ন ফিল্ম স্কুল এবং পপ কালচারে স্থান করে নেয়। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বোদ্ধারা স্বীকার করেন যে, শোলে ছিল এমন একটি কমপ্লিট প্যাকেজ, যেখানে কমেডি, ট্র্যাজেডি, অ্যাকশন এবং মেলোড্রামা নিখুঁত অনুপাতে মেশানো ছিল।

এই সিনেমা নিয়ে এমন কিছু তথ্য আছে যা আজও অনেকে হয়তো জানেন না। যেমন— আসল গুলির ব্যবহার। সিনেমার একটি অ্যাকশন দৃশ্যে ধর্মেন্দ্র উত্তেজনার বশে আসল গুলি ব্যবহার করেছিলেন। গুলিটি অমিতাভ বচ্চনের কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান অমিতাভ।

জয়া বচ্চনের গর্ভাবস্থা: শুটিং চলাকালীন জয়া বচ্চন (রাধা) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। শ্বেতা বচ্চন তখন তাঁর গর্ভে। এ কারণেই সিনেমায় রাধার শটগুলো খুব সাবধানে নেওয়া হয়েছিল যাতে তাঁর শারীরিক অবস্থা বোঝা না যায়। আবার ১৯৭৫ সালে সিনেমাটি যখন মুক্তি পায় তখন অভিষেক বচ্চন জয়ার গর্ভে।

ম্যাক মোহন ও সাম্ভা: পুরো সিনেমায় সাম্ভা চরিত্রের অভিনেতা ম্যাক মোহনের সংলাপ ছিল মাত্র তিনটি শব্দ— “পুরো পঞ্চাশ হাজার”। অথচ এই তিন শব্দই তাঁকে অমর করে রেখেছে।

দুটি ভিন্ন সমাপ্তি: শোলের আসল সমাপ্তিতে ঠাকুর পায়ের জুতোয় লাগানো পেরেক দিয়ে গব্বরকে হত্যা করেন। কিন্তু সেন্সর বোর্ড তখন মনে করেছিল, এতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া শেখানো হচ্ছে এবং এতে সমাজে সহিংসতা ছড়াবে। বাধ্য হয়ে ক্লাইমেক্স বদলে পুলিশ ডেকে গব্বরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে ১৯৯০ সালে আসল আনকাট ভার্সনটি ভিডিও ক্যাসেটে মুক্তি পায়।

‘শোলে’ কেবল একটি সিনেমা নয়, এটি একটি পাঠ্যপুস্তক। পরিচালক শেখর কাপুর একবার বলেছিলেন, “ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়— শোলে’র আগে এবং শোলে’র পরে।”

গব্বর সিংয়ের অট্টহাসি, জয়-বীরুর বন্ধুত্ব কিংবা বাসন্তীর ঘোড়ার গাড়ি— সবকিছুই দর্শকদের মনে গেঁথে আছে

প্রযুক্তির অভাব, বাজেটের সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও যে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র তৈরি করা যায়, রমেশ সিপ্পি তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন। ৫০ বছর পরেও যখন কেউ প্রশ্ন করে, “কিতনে আদমি থে?”— তখন বোঝা যায়, শোলে’র আগুন আজও নেভেনি, আর সহসা নিভবেও না।

বিনোদন নয় বিশ্বজনীন শিল্পকর্ম
ভারতীয় সিনেমা ‘শোলে’ কেবল দেশের অভ্যন্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এক বিশেষ সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক স্থান দখল করে আছে। এই কালজয়ী চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী, গল্প বলার ধরন এবং এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে অসংখ্য বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই সিনেমা যে কেবল বিনোদন নয়, বরং একটি বিশ্বজনীন শিল্পকর্ম— সেই সত্যটিই প্রমাণিত হয়েছিল যখন ২০০০ সালের দিকে বিবিসি ইন্ডিয়া এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক পোলে শোলেকে সহস্রাব্দের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই সম্মাননা প্রমাণ করে যে ছবিটি কেবল বক্স অফিস সাফল্যই অর্জন করেনি, বরং এটি বিশ্বজুড়ে চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান লাভ করেছে। আন্তর্জাতিক সমালোচকরা বিশেষত এই চলচ্চিত্রের নিখুঁত ঘরানা-মিশ্রণ, যেখানে অ্যাকশন, কমেডি, রোমান্স এবং ট্র্যাজেডি সমান তালে প্রবাহিত হয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

আমেরিকান গণমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিন (TIME Magazine) ২০০৫ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র নিয়ে তাদের বিশেষ প্রতিবেদনে ‘শোলে’কে “Top 25 Must-See Indian Films” তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ম্যাগাজিনটির সমালোচনামূলক অংশে সেলিম-জাভেদ জুটির ঝকঝকে চিত্রনাট্য এবং বিশেষ করে আমজাদ খান অভিনীত ‘গব্বর সিং’ চরিত্রটির জটিলতা ও ভয়াল আবেদনকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেও ব্যতিক্রমী বলে চিহ্নিত করা হয়। টাইম ম্যাগাজিন এটিকে একটি ‘আইকনিক মাফিয়া কমেডি-অ্যাকশন থ্রিলার’ হিসেবে বর্ণনা করে, যা ভারতীয় সিনেমার মূল ধারার বিনোদনের শক্তিকে আন্তর্জাতিক দর্শকের কাছে তুলে ধরে। তারা এই সিনেমার প্রতিটি চরিত্রকে— তা জয়-বীরুর বন্ধুত্ব হোক বা বাসন্তীর চটপটে স্বভাব— অত্যন্ত মজবুত ও স্মরণীয় বলে উল্লেখ করে।

ব্যবসা ও চলচ্চিত্র শিল্পের দৃষ্টিকোণ থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভেরাইটি (Variety) ‘শোলে’কে “Genre-Defining Blockbuster” হিসেবে আখ্যায়িত করে। তাদের প্রতিবেদনগুলিতে সিনেমার বিশাল বাজেট (তৎকালীন সময়ে যা ছিল রেকর্ড ৩ কোটি রুপি) এবং এর ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে আলোকপাত করা হয়। ভেরাইটি উল্লেখ করে যে, ‘শোলে’ কেবল বিপুল অর্থ উপার্জনই করেনি, বরং এটি ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগ এবং বক্স অফিস থেকে মুনাফা অর্জনের এক নতুন এবং আগ্রাসী মানদণ্ড তৈরি করেছিল। এই সিনেমা প্রমাণ করে দেয় যে বড় ক্যানভাসে ছবি বানিয়ে তা থেকে সর্বোচ্চ লাভ তুলে আনা সম্ভব। এটি ভারতের প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম যা বিশ্বব্যাপী বড় পরিসরে পরিবেশনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল।


Editor’s choice 
জিনাত আমান : হিন্দি সিনেমার নায়িকাদের ছক ভাঙতে শিখিয়েছেন যিনি


এ ছাড়াও, সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোতে ‘শোলে’র প্রভাব ছিল মারাত্মক। যদিও মূলধারার পশ্চিমা গণমাধ্যমে এটি ততটা গুরুত্ব পায়নি, কিন্তু রাশিয়ান এবং পূর্ব ইউরোপীয় মিডিয়াগুলো এই সিনেমাটির জনপ্রিয়তা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সোভিয়েত প্রেসের বিশ্লেষণে বলা হয়, অ্যাকশন, বন্ধুত্ব, এবং প্রতিশোধের এই Universal Theme সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকা দর্শকদের আবেগকে সফলভাবে স্পর্শ করেছিল। তাদের কাছে জয় ও বীরুর আত্মত্যাগ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঠাকুরের সংগ্রাম ছিল খুবই প্রভাবশালী।

বহু একাডেমিক ফিল্ম স্টাডিজ জার্নাল এবং পশ্চিমা সমালোচক ‘শোলে’কে ইতালীয় ‘স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন’ দ্বারা প্রভাবিত ‘Dacoit Western’ উপধারার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করে। তারা এই সিনেমাটিকে একটি সফল সাংস্কৃতিক অভিযোজন হিসেবে দেখায়, যেখানে পশ্চিমা ফিল্ম নয়ারের উপাদানকে ভারতীয় লোককথা এবং মূল্যবোধের সাথে মিশিয়ে এক নতুন শৈল্পিক ধারার জন্ম দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত আন্তর্জাতিক আলোচনা ‘শোলে’কে কেবল একটি ব্লকবাস্টার নয়, বরং বিশ্ব সিনেমার ইতিহাসে ভারতীয় সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।