ঢাকা, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫: গতকাল ছিল বিশ্ব বই দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউনেস্কো প্রতি বছর ২৩শে এপ্রিল এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী বই এবং কপিরাইট দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
বই শুধুমাত্র কাগজের মোড়কে আবদ্ধ কিছু শব্দগুচ্ছ নয়, বরং এগুলো জ্ঞান, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এই বিশেষ দিনটি বইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং মানুষকে বই পড়তে উৎসাহিত করে।
বিশ্ব বই দিবসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। ২৩শে এপ্রিল তারিখে উইলিয়াম শেক্সপিয়র, মিগুয়েল দে থের্ভান্তেস এবং ইনকা গার্সিলাসো দে লা ভেগার মতো বিখ্যাত সাহিত্যিকদের প্রয়াণ দিবস। এই দিনটিকে বইয়ের প্রতি সম্মান জানানোর এবং লেখকদের অবদানকে স্মরণ করার একটি উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

- ‘সানি সংস্কারি কি তুলসি কুমারী’ রিভিউ : জাঁকজমকপূর্ণ সেটে একঘেয়ে গল্পের পুনরাবৃত্তিশশাঙ্ক খৈতান এবং বরুণ ধাওয়ানের জুটি বলিউডে সব সময়ই সাফল্যের নিশ্চয়তা দিয়েছে, বিশেষ করে ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ এবং ‘বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’র মতো সফল রম-কমের পরে। সেই পুরোনো রসায়নকে পুঁজি করে করণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘সানি সংস্কারি কি তুলসি কুমারী’ (Sunny Sanskari Ki Tulsi Kumari)।
- মঙ্গলে সময় চলে পৃথিবীর চেয়ে দ্রুত, জানালেন বিজ্ঞানীরামঙ্গলে প্রতিদিন গড়ে ৪৭৭ মাইক্রোসেকেন্ড সময় পৃথিবীর তুলনায় দ্রুত চলে। আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বের প্রভাবে এই পার্থক্য তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে সৌরজগতের ভেতরে নেভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এর বড় প্রভাব পড়তে পারে।
- ফিরে দেখা শোলের মহাকাব্যিক যাত্রাপথসালটা ১৯৭৫। ভারতের রাজনৈতিক আকাশ তখন উত্তপ্ত, জরুরি অবস্থা বা ‘ইমার্জেন্সি’র কালো ছায়া দেশজুড়ে। ঠিক সেই সময়েই সেলুলয়েডের পর্দায় মুক্তি পেল এমন এক চলচ্চিত্র, যা কেবল ভারতীয় সিনেমার মোড়ই ঘুরিয়ে দিল না, বরং নিজেই হয়ে উঠল এক ইতিহাস। নাম— ‘শোলে’।
- স্যামসাং আনছে তিন ভাঁজের ‘গ্যালাক্সি জেড ট্রাইফোল্ড’, কত হতে পারে দামস্যামসাং তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রথম তিন ভাঁজের (মাল্টি-ফোল্ডিং) স্মার্টফোন ‘গ্যালাক্সি জেড ট্রাইফোল্ড’ উন্মোচন করেছে। গত মঙ্গলবার ফোনটি বাজারে আনার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনে রয়েছে ট্যাবলেটের মতো ১০ ইঞ্চির বিশাল মেইন ডিসপ্লে এবং ৬.৫ ইঞ্চির কভার স্ক্রিন।
- গুইলারমো দেল তোরোর ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’: দানব যখন মানুষের চেয়েও মানবিকগল্পের মূল কাঠামো সবার জানা, কিন্তু দেল তোরো জোর দিয়েছেন চরিত্রের মনস্তত্ত্বের ওপর। ভিক্টর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন (অস্কার আইজ্যাক) এখানে কেবল একজন পাগল বিজ্ঞানী নন, তিনি এক ট্র্যাজিক হিরো—যিনি মৃত্যুকে জয় করতে গিয়ে নিজের জীবনকেই নরক বানিয়ে ফেলেন।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, সেমিনার, বই প্রদর্শনী, লেখক ও পাঠকের মধ্যে মতবিনিময় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনেক স্থানে শোভাযাত্রা ও র্যালির আয়োজন করা হয়, যেখানে সকলে হাতে বই নিয়ে অংশগ্রহণ করে বইয়ের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন জানায়। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা এই দিনটিকে কেন্দ্র করে নতুন বই প্রকাশ করে এবং পুরনো বইয়ের উপর বিশেষ ছাড় দেয়, যা পাঠক সমাজকে বই কেনার প্রতি আরও আগ্রহী করে তোলে।
বই আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে, নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে এবং ভিন্ন সংস্কৃতি ও জীবনধারার সাথে পরিচিত করে তোলে। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা নিজেদের আবেগ ও অনুভূতিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শিখি। একটি ভালো বই নিঃসঙ্গ মুহূর্তে আমাদের সঙ্গী হতে পারে এবং কঠিন সময়ে সাহস যোগাতে পারে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে যখন বিনোদনের অসংখ্য মাধ্যম হাতের মুঠোয়, তখন বইয়ের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। বই আমাদের ধৈর্য্য ধারণ করতে শেখায় এবং গভীর মনোযোগের সাথে কোনো বিষয়ে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। বই পড়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে।
বিশ্ব বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বস্তরের মানুষকে বইমুখী করা এবং পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। আসুন, এই বিশেষ দিনে আমরা সকলে বইকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি এবং জ্ঞানার্জনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাই। বইয়ের আলোয় আলোকিত হোক আমাদের জীবন এবং সমৃদ্ধ হোক আমাদের সমাজ।