সঞ্জয় লীলা বানশালির সিরিজ ‘হীরামন্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’-এও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁর ভাগ্নি শারমিন সেগাল। তার অভিনয়ের জন্য লোকে তাকে নিয়ে মজা করছে। একই সঙ্গে মানুষ আবার স্বজনপোষণ নিয়ে বিতর্ক শুরু করেছে। যাই হোক, আজ আমরা আপনাদের শারমিন সেগালের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত কিছু কথা বলছি। শারমিন সেগাল শৈশবে বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন এবং তিনি তার সমস্ত আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন।
শারমিনের রেখা সংযোগ
শারমিন সেগাল সঞ্জয় লীলা বানসালির বোন এবং চলচ্চিত্র সম্পাদক বেলা সেগালের মেয়ে। তাঁর বাবার নাম দীপক সেগাল। আপনি জেনে অবাক হবেন শারমিন সেগালের রেখা সংযোগ রয়েছে। আসলে শারমিনের দাদা তথা ছবির পরিচালক মোহন সেগালই বলিউড অভিনেত্রী রেখাকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে এসেছিলেন।
শৈশবে উৎপীড়নের শিকার হয়েছেন
শারমিন সেগাল ছোটবেলায় বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। একাধিক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, মোটা হওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন তিনি। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে শারমিন জানিয়েছিলেন, ১১ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি মোটাসোটা হয়ে গিয়েছিলেন। “আমি আমার জীবনের ১৩-১৪ বছর খুব মোটা ছিলাম। স্কুলে কিছু বাচ্চা ছিল যারা তাকে নিয়ে মজা করত। ”
শারমিন একই সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন যে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন, কিন্তু তারপরে এমন কিছু ঘটেছিল যা তাকে অভিনয়ে আগ্রহী করে তোলে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি তার স্কুলে থিয়েটার শিখেছিলেন এবং একবার, যখন তিনি ‘মোটা বন্ধু-কে চরিত্র’ হিসাবে অভিনয় করছিলেন, তখন তিনটি ছেলে যারা তাকে স্কুলে বুলিং করেছিল তারা দর্শকদের মধ্যে বসে ছিল এবং তাকে দেখে হাসছিল। শারমিন বলেন, সেদিন ওই ছেলেগুলোকে হাসতে দেখে তার মনে হয়েছিল তারা তাদের নিয়ে নয়, তাদের চরিত্র দেখে হাসছে। শারমিন বলেন, ‘আমি সেদিন শুধু মোটা শারমিন হতে চেয়েছিলাম। সেদিন থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি।
একই সাক্ষাৎকারে শারমিন জানিয়েছিলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে উৎপীড়নের শিকার হওয়ার পর তিনি তার সমস্ত আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন। সঞ্জয় লীলা বানশালিকে স্যার বলে ডাকেন শারমিন। শারমিন জানিয়েছিলেন, সঞ্জয় লীলা বনশালিকে সম্মান জানাতেই তিনি এই কাজ করেন।