বই দিবস: জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হোক পৃথিবী


ঢাকা, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫: গতকাল ছিল বিশ্ব বই দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউনেস্কো প্রতি বছর ২৩শে এপ্রিল এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী বই এবং কপিরাইট দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

বই শুধুমাত্র কাগজের মোড়কে আবদ্ধ কিছু শব্দগুচ্ছ নয়, বরং এগুলো জ্ঞান, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এই বিশেষ দিনটি বইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং মানুষকে বই পড়তে উৎসাহিত করে।
বিশ্ব বই দিবসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। ২৩শে এপ্রিল তারিখে উইলিয়াম শেক্সপিয়র, মিগুয়েল দে থের্ভান্তেস এবং ইনকা গার্সিলাসো দে লা ভেগার মতো বিখ্যাত সাহিত্যিকদের প্রয়াণ দিবস। এই দিনটিকে বইয়ের প্রতি সম্মান জানানোর এবং লেখকদের অবদানকে স্মরণ করার একটি উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

  • Xiaomi Redmi Note 15 5g : বিশ্ব বাজারে রেডমি নোট সিরিজের নতুন তিন মডেল
    চীনের বাজারে আসার কয়েক মাস পর এবার বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেল শাওমির জনপ্রিয় রেডমি নোট সিরিজের নতুন তিনটি মডেল—রেডমি নোট ১৫ প্রো প্লাস ৫জি, রেডমি নোট ১৫ প্রো ৫জি এবং রেডমি নোট ১৫ ৫জি। আপাতত পোল্যান্ডের বাজারে ফোনগুলো ছাড়া হলেও শিগগিরই অন্যান্য অঞ্চলে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
  • ধনকুবেরদের বিলাসী অ্যাডভেঞ্চার মহাকাশ পর্যটন  
    মহাকাশ। মানবজাতির চিরন্তন মুগ্ধতার কেন্দ্রবিন্দু। একসময় যা ছিল কেবলই কল্পবিজ্ঞানের উপজীব্য, তা-ই আজ পরিণত হয়েছে বিলিয়ন ডলারের এক সম্ভাবনাময় শিল্পে। প্রশ্নটা এখন আর ‘কবে হবে’ নয়, বরং ‘কারা হবে’— অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ যাত্রা কতটা সুগম হলো? মহাকাশ পর্যটন এখনও কি নিছকই স্বপ্ন, নাকি বাস্তবতা?
  • চীনের নাগচু অঞ্চলে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প
    চীনের পশ্চিম তিব্বতের নাগচু অঞ্চলে একটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.১ রিখটার স্কেল, যা দুর্বলভাবে নির্মিত ভবনগুলোর ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
  • ওজাই, ক্যালিফোর্নিয়ার কাছে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
    ক্যালিফোর্নিয়ার ওজাই শহরের উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে একটি ক্ষুদ্র ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ১.০৩ রিখটার স্কেল, যা মূলত সংবেদনশীল ব্যক্তিরা অনুভব করতে সক্ষম হয়েছেন।
  • ‘সানি সংস্কারি কি তুলসি কুমারী’ রিভিউ : জাঁকজমকপূর্ণ সেটে একঘেয়ে গল্পের পুনরাবৃত্তি
    শশাঙ্ক খৈতান এবং বরুণ ধাওয়ানের জুটি বলিউডে সব সময়ই সাফল্যের নিশ্চয়তা দিয়েছে, বিশেষ করে ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ এবং ‘বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’র মতো সফল রম-কমের পরে। সেই পুরোনো রসায়নকে পুঁজি করে করণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘সানি সংস্কারি কি তুলসি কুমারী’ (Sunny Sanskari Ki Tulsi Kumari)।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, সেমিনার, বই প্রদর্শনী, লেখক ও পাঠকের মধ্যে মতবিনিময় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনেক স্থানে শোভাযাত্রা ও র‍্যালির আয়োজন করা হয়, যেখানে সকলে হাতে বই নিয়ে অংশগ্রহণ করে বইয়ের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন জানায়। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা এই দিনটিকে কেন্দ্র করে নতুন বই প্রকাশ করে এবং পুরনো বইয়ের উপর বিশেষ ছাড় দেয়, যা পাঠক সমাজকে বই কেনার প্রতি আরও আগ্রহী করে তোলে।

বই আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে, নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে এবং ভিন্ন সংস্কৃতি ও জীবনধারার সাথে পরিচিত করে তোলে। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা নিজেদের আবেগ ও অনুভূতিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শিখি। একটি ভালো বই নিঃসঙ্গ মুহূর্তে আমাদের সঙ্গী হতে পারে এবং কঠিন সময়ে সাহস যোগাতে পারে।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে যখন বিনোদনের অসংখ্য মাধ্যম হাতের মুঠোয়, তখন বইয়ের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। বই আমাদের ধৈর্য্য ধারণ করতে শেখায় এবং গভীর মনোযোগের সাথে কোনো বিষয়ে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। বই পড়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে।
বিশ্ব বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বস্তরের মানুষকে বইমুখী করা এবং পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। আসুন, এই বিশেষ দিনে আমরা সকলে বইকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি এবং জ্ঞানার্জনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাই। বইয়ের আলোয় আলোকিত হোক আমাদের জীবন এবং সমৃদ্ধ হোক আমাদের সমাজ।