মস্কোর বাহিনী ইউক্রেনের সুমি এলাকায় একটি নিরাপত্তা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে, যেখানে তারা চারটি বসতি এবং ৯০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। ইতোমধ্যে কুরস্ক অঞ্চলের ১৯টি বসতি মাইনমুক্ত করা হয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের বীরত্বের প্রশংসা করা হয়েছে। তবে, ঠিক কতজন উত্তর কোরীয় সেনা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে, সেই বিষয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশব্যাপী সামরিক আইন বহাল রেখেছেন। রাজধানী কিয়েভ এবং খারকিউ সহ অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে রাশিয়ার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। যদিও ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রুশ সামরিক বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির একটি বড় চিত্র দেওয়া হয়েছে, তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্র, যেমন কৃত্রিম উপগ্রহের ছবি ও সামরিক কার্যকলাপের ভিডিও ফুটেজ থেকে হতাহতের সংখ্যা অনুমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই সংঘাতের ফলে শুধু ইউক্রেন নয়, অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিকেরাও হতাহত হয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধে বহু বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, যদিও মারিউপোল, ইজ়িয়ম, লাইসিচান্স্ক, পোপ্সনা এবং সিভিয়েরোডোনেতস্কের মতো কিছু অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক মহলে এই যুদ্ধ ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে এবং বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। এই সংঘাত কবে শেষ হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।