ঢাকা, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫: গতকাল ছিল বিশ্ব বই দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউনেস্কো প্রতি বছর ২৩শে এপ্রিল এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী বই এবং কপিরাইট দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
বই শুধুমাত্র কাগজের মোড়কে আবদ্ধ কিছু শব্দগুচ্ছ নয়, বরং এগুলো জ্ঞান, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এই বিশেষ দিনটি বইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং মানুষকে বই পড়তে উৎসাহিত করে।
বিশ্ব বই দিবসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। ২৩শে এপ্রিল তারিখে উইলিয়াম শেক্সপিয়র, মিগুয়েল দে থের্ভান্তেস এবং ইনকা গার্সিলাসো দে লা ভেগার মতো বিখ্যাত সাহিত্যিকদের প্রয়াণ দিবস। এই দিনটিকে বইয়ের প্রতি সম্মান জানানোর এবং লেখকদের অবদানকে স্মরণ করার একটি উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

- চিনির ‘পুষ্টিকর বিকল্প’, দেখতেও এক, স্বাদে মিষ্টি এমন এক রকম চিনি আছে, যা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না। ইনসুলিন হরমোনের হেরফেরও হবে না। গবেষকেরা এখন এই চিনিকেই সেরা বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এর নাম অ্যালুলোজ। চিনির মতোই, কিন্তু ঠিক চিনি নয়। স্বাদেও মিষ্টি, তবে ডায়াবেটিসের কারণ হয়ে উঠবে না।
- ‘অল্প দামে ৫-৬টা শাড়ি-জামা না কিনে দাম দিয়ে একটা ভাল কিনুন’ফ্যাশন প্রকৃতপক্ষেই পৃথিবীতে দূষণ ও আরও নানা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাত্রাছাড়া পোশাক পরিচ্ছদ উৎপাদন এবং নষ্টের জন্য তো বটেই, পোশাকে কৃত্রিম উপাদান যেমন সিন্থেটিক, মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং নানা রাসায়নিকের ব্যবহারের জন্যও বাড়ছে পরিবেশ দূষণ।
- বর্ষায় ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে হবে যেভাবেবর্ষাকাল মানেই প্রকৃতির (Monsoon Trip Essential) এক অন্যরকম রূপ। কোথাও টিপ টিপ বৃষ্টি, কোথাও ঝমঝম শব্দে একটানা বর্ষণ। এমন আবহে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা অনেকের মনেই আসে। প্রকৃতির সবুজ শোভা, পাহাড়ি ঝরনা, মেঘে ঢাকা পাহাড় সব মিলিয়ে বর্ষায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে স্মরণীয়। তবে বর্ষাকাল যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও। তাই সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রা করলে আনন্দ বদলে যেতে পারে অস্বস্তিতে।
- ৪ বছর পর প্রত্যাবর্তন আর্চারেরলর্ডস টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার আগের দিনই প্রথম একাদশ ঘোষণা করে দিল ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে খেলছেন অভিজ্ঞ পেসার জোফ্রা আর্চার (Jofra Archer। ভারত-ইংল্যান্ড (England vs India) টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে তাঁর আঙুলে চোট ছিল। ফলে হেডিংলিতে (Headingley) সিরিজের প্রথম…
- চেলসির নতুন ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্ষমা চাইলেন কেন? দলকে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার নায়ক। মাঠে জোয়াও পেদ্রোর উদযাপন হওয়ার কথা বাঁধনহারা। কিন্তু চেলসির নতুন তারকা গোল করে ভঙ্গি করলেন ক্ষমা চাওয়ার।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা, সেমিনার, বই প্রদর্শনী, লেখক ও পাঠকের মধ্যে মতবিনিময় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনেক স্থানে শোভাযাত্রা ও র্যালির আয়োজন করা হয়, যেখানে সকলে হাতে বই নিয়ে অংশগ্রহণ করে বইয়ের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন জানায়। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা এই দিনটিকে কেন্দ্র করে নতুন বই প্রকাশ করে এবং পুরনো বইয়ের উপর বিশেষ ছাড় দেয়, যা পাঠক সমাজকে বই কেনার প্রতি আরও আগ্রহী করে তোলে।
বই আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে, নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে এবং ভিন্ন সংস্কৃতি ও জীবনধারার সাথে পরিচিত করে তোলে। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা নিজেদের আবেগ ও অনুভূতিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শিখি। একটি ভালো বই নিঃসঙ্গ মুহূর্তে আমাদের সঙ্গী হতে পারে এবং কঠিন সময়ে সাহস যোগাতে পারে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে যখন বিনোদনের অসংখ্য মাধ্যম হাতের মুঠোয়, তখন বইয়ের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। বই আমাদের ধৈর্য্য ধারণ করতে শেখায় এবং গভীর মনোযোগের সাথে কোনো বিষয়ে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে। বই পড়ার অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে।
বিশ্ব বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বস্তরের মানুষকে বইমুখী করা এবং পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। আসুন, এই বিশেষ দিনে আমরা সকলে বইকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি এবং জ্ঞানার্জনের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাই। বইয়ের আলোয় আলোকিত হোক আমাদের জীবন এবং সমৃদ্ধ হোক আমাদের সমাজ।