ছাদ বাগানে আম চাষ

আম বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। বাংলাদেশের সর্বত্র আম গাছ দেখা যায়। তবে সবচেয়ে ভাল আম পাওয়া যায় উত্তরবঙ্গে।

ছাদেই গড়ে তোলা যায় আম বাগান। বর্ষার সময়েই লাগিয়ে ফেলতে পারেন গাছ। গাছ পেড়ে আম খাওয়ার স্বাদ পেয়ে যাবেন দুই বছরের মাথাতেই।

ছাদে বাগান সৃষ্টি করে তা থেকে সুফল আহরণ করার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিরাপদ ফল সবজি প্রাপ্তি সুবিধা নিশ্চিত করণে অনেকেই ছাদে বাগান তৈরি অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। বয়স্ক নর-নারী অবসর বিনোদনের প্রয়োজনে ছাদ বাগান সৃষ্টিতে অনেকে আগ্রহী হয়। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ছাদ বাগান করে গাছপালার সংস্পর্শে এসে বিচিত্র আনন্দের স্বাদ গ্রহণ করে। অনেক বৃক্ষ প্রেমিক পরিকল্পিতভাবে নিজ হাতে ছাদে বাগান করে সৃষ্টির আনন্দ ও গাছপালার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন। একটা সুন্দর ছাদ বাগান দিতে পারে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সারা বছর ধরে পরিবারের চাহিদামতো নিরাপদ ফল-সবজি।

সব জাতের আমই ছাদে চাষ করা সম্ভব । তবে ফলন বেশী হয় ছাদের জন্য এমন কিছু জাত নির্বাচন করা উচিৎ । এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হয় বারি আম -৩ জাতটি । গাছ ছোট আকৃতি, ফল মাঝারি এবং খেতে বেশ সুস্বাদু । যার আরেক নাম আম্রপালি । মোটামুটি প্রতিবছরই ফল দেয় বিধায় ছাদে লাগানোর ক্ষেত্রে আম্রপালিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া উচিৎ । তাছাড়াও বাউ আম – ১, ২, ৩, ৬, ৭, লতা বোম্বাই ইত্যাদি বামন জাতের আম ছাদের জন্য বেশ উপযোগী ।

ছাদে টবে আম চাষ করতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। টবে আম চাষ পদ্ধতি স্বাভাবিকভাবে আম চাষের পদ্ধতির চেয়ে অনেকড়াই ভিন্ন। ছাদে তিনরকম সাইজের টবে আম চাষ সম্ভব।
১. ফেলে দেওয়া অর্ধ বা সম্পূর্ণ ড্রাম
২. সিমেন্টের তৈরি টব, যা ব্যাস ৭৫ সেন্টিমিটার ও উচ্চতা ১.২৫ মিটার
৩. ইট-সিমেন্টের তৈরি দেড় মিটার লম্বা, চওড়া ও উচ্চতা সম্পন্ন টব

যদি চান সারা বছর ধরে আম, তবে নিন বারোমাসি আমের চারা। বারোমাসি আমের মধ্যে নিতে পারেন বারি-১১, থাই কাটিমন, মালয়েশিয়ান পুনাই আম, মালয়েশিয়ান লুবনা আম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *