সিমলা চুক্তি থেকে সরে এসে ভারতের কতটা ক্ষতি করবে পাকিস্তান? 

সিমলা চুক্তি, যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পরে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল দুটি দেশের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। 

পাকিস্তান যদি এই চুক্তি থেকে সরে আসে, তবে ভারতের ওপর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে। চুক্তি বাতিল হলে যে বিষয়গুলো ঘটতে পারে— 

পাকিস্তান চুক্তি বাতিল করলে, ভারতের সাথে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যেতে পারে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটবে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। 

এই চুক্তি বাতিল হলে, সীমান্তে সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়বে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যা উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে।

পাকিস্তান চুক্তি থেকে সরে গেলে, ভারত বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আনবে। এর ফলে, পাকিস্তানের ওপর বিভিন্ন প্রকার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। 

সিমলা চুক্তি কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলে। এটি বাতিল হলে, কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে এবং এই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে।

চুক্তি বাতিল হলে, পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে এবং সীমান্তে অস্থিরতা দেখা দেবে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সীমিত বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও খারাপ হতে পারে। এর ফলে উভয় দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 

সিমলা চুক্তি থেকে পাকিস্তান সরে গেলে ভারত যে পদক্ষেপগুলো নিতে পারে—
ভারত আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে এবং তাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবে।

ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে। 

পাকিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে ভারত আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।  পাকিস্তানের উপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে এবং অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য কমিয়ে দিতে পারে। 

পরিশেষে বলা যায়, সিমলা চুক্তি থেকে পাকিস্তানের সরে আসা ভারতের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এর ফলস্বরূপ, দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হবে, সীমান্তে উত্তেজনা বাড়বে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। তবে, ভারত এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারে।