মিষ্টি কুমড়া থেকে যেসব উপকার পাবেন

নানানভাবে রান্না করে খাওয়া যায় মিষ্টি কুমড়া। আর যেভাবেই রান্না করা হোক না কেনো, মিলবে নানান উপকারিতা।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বেটা-ক্যারোটিন’য়ের জন্য মিষ্টি কুমড়ার রং কমলা হয়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে আলফা-ক্যারোটিন এবং বেটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন। এগুলো ‘ফ্রি র‌্যাডিকেল’ অপসারণ করে। আর ক্যান্সারের বিরূদ্ধে কাজ করতে শরীরকে প্রস্তুত করে রাখে।

রোগ প্রতিরোধ: আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা-জ্বর এবং ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। মিষ্টি কুমড়াতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর বেটা-ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ’তে রূপান্তিরত হয়, যা শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।

চোখের স্বাস্থ্য: ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। আর মিষ্টি কুমড়ায় কীভাবে ভিটামিন এ মিলবে সেটা ওপরেই উল্লেখ করা আছে। এছাড়াও মিলবে লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন- এই দুই ক্যারোটিনয়েডস চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হৃদ-স্বাস্থ্য: আঁশ, পটাসিময়াম ভিটামিন সি ছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার নানান পুষ্টি উপাদান হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করতে পারে। ফলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

উজ্জ্বল ত্বক: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বেটা-ক্যারোটিন ‘সানব্লক’ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের গঠন উন্নত করে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বকের টানটানভাব বজায় রাখে।

প্রোটিন: কুমড়ার সাথে থাকা দানা প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস। তাই ফেলে না দেওয়ার পরামর্শ দেন ‘ওয়ান্স আপন এ পামকিন’ বইয়ের লেখক ম্যাগি মহালজেক।

এছাড়াও মিলবে লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *