দুই বছর আগে বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ জানান হামজা চৌধুরী। তাঁর ইচ্ছা এবং বাংলাদেশের ফুটবলের স্বার্থে ২০২২ সালে হামজাকে পেতে তাঁর ক্লাব লিস্টার সিটিতে আবেদন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সেই ক্লাব থেকে অনুমতি মেলার পর সবচেয়ে যে বাধা ছিল ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের, সেটাও পেয়ে গেছে বাফুফে। এফএ থেকে অনুমোদন পাওয়ার আগে ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়ে যান হামজা।
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের জার্সি গায়ে জড়ানো ২৬ বছর বয়সী এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর মাত্র এক ধাপ দূরে। পাসপোর্ট, ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনাপত্তির চিঠি, লিস্টার সিটির ছাড়পত্রসহ আরও নানা কাগজপত্র যুক্ত করে ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন মিললেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন হামজা।
জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও হামজার মায়ের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়। অনেকবারই বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। তাই তো মায়ের দেশের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন তাঁর। কিন্তু ২০১৮-১৯; এই এক বছরে ইংল্যান্ড যুবদলের হয়ে ৭ ম্যাচ খেলেছিলেন হামজা। যে কারণে তাঁর বাংলাদেশি হয়ে খেলার প্রক্রিয়াটা একটু জটিল হয়ে যায়।