বিশ্ববাজারে আইফোনের চাহিদা আগের তুলনায় কমেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, বৈচিত্র্যহীনতাই আইফোন ১৬ বিক্রিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা ছিল, নতুন এআই প্রযুক্তি সংযোজনের কারণে ১৬ সিরিজের প্রতি আগ্রহ বাড়বে গ্রাহকদের। এর সঙ্গে বাড়বে ব্যবসাও। কিন্তু নতুন এই সিরিজের বিক্রি হতাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের আর্থিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ওয়েডবুশের বিশ্লেষক ড্যান আইভস আগেই জানিয়েছিলেন, প্রথম সপ্তাহে আইফোন ১৬ প্রো বিক্রি হবে ৪ কোটির মতো। কিন্তু প্রি-সেল শুরুর প্রথম সপ্তাহে আইফোন ১৬ বিক্রি হয় ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউনিট। গত বছরের চেয়ে যা কমেছে ১২ শতাংশ।
টিএফ ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজের অ্যাপল বিশ্লেষক মিং-চি কুও জানিয়েছেন, আইফোন ১৬ প্রোর চাহিদা কমার অন্যতম কারণ বেশি দাম নির্ধারণ। এদিকে সিএফআরএ রিসার্চ জানিয়েছিল, প্রথম সপ্তাহে আইফোনের নতুন এই সিরিজ বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে।
আইফোন ১৬ সিরিজের ৪টি মডেল বাজারে এনেছে অ্যাপল। মধ্যে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া প্রথম দুটি সিরিজ ১৬ ও ১৬ প্লাসের প্রতি গ্রাহকদের আগ্রহ বেশি। কারণ, ১৬ প্রো বা ১৬ প্রো ম্যাক্সের সঙ্গে আগের দুটির তেমন পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। তাই চাহিদা আর বাজেটের বিষয়টি বিবেচনা করে এবারের আইফোন কিনছেন তাঁরা, যা গড় বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্লেষক কুওর দেওয়া তথ্যমতে, প্রি-সেলে প্রথম সপ্তাহে ৯৮ লাখ আইফোন ১৬ প্রো মডেল এবং ১ কোটি ৭১ লাখ প্রো ম্যাক্স মডেল বিক্রি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় যথাক্রমে ২৭ ও ১৬ শতাংশ কম। অন্যদিকে আইফোন ১৬ ও আইফোন ১৬ প্লাসের বিক্রি ১৫ মডেলের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।